সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ নিচে দেখানো হলো-
১. লেখার ভিত্তিতে সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ : লেখার ভিত্তিতে সংবিধান দুই ধরনের হতে পারে । যথা : ক. লিখিত সংবিধান ও খ. অলিখিত সংবিধান ।
ক. লিখিত সংবিধান : লিখিত সংবিধানের অধিকাংশ বিষয় দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে । বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লিখিত ।
খ. অলিখিত সংবিধান : অলিখিত সংবিধানের অধিকাংশ নিয়ম কোনো দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে না। এ ধরনের সংবিধান প্রথা ও রীতিনীতিভিত্তিক । চিরাচরিত নিয়ম ও আচার অনুষ্ঠানের ভিত্তিতে এ ধরনের সংবিধান গড়ে উঠে । যেমন- ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত ।
তবে এ কথা সত্য যে, কোনো সংবিধানই পুরোপুরি লিখিত বা অলিখিত নয় । কোনোটি বেশি লিখিত আবার কোনোটি কম লিখিত ।
২. সংশোধনের ভিত্তিতে সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ: সংশোধনের ভিত্তিতে সংবিধান দুই প্রকার । যথা ক. সুপরিবর্তনীয় সংবিধান ও খ. দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান ।
ক. সুপরিবর্তনীয় সংবিধান : সুপরিবর্তনীয় সংবিধানের যে কোনো ধারা সহজে পরিবর্তন বা সংশোধন করা যায় । এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তন করতে কোনো জটিলতার প্রয়োজন হয় না । সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আইনসভা এর যেকোনো অংশ সংশোধন করতে পারে। ব্রিটিশ সংবিধান সুপরিবর্তনীয় সংবিধান ।
খ. দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান : দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের কোনো ধারা সহজে পরিবর্তন বা সংশোধন করা যায় না, এ ক্ষেত্রে সংবিধান পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হলে জটিল পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয়। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এ ধরনের সংবিধান পরিবর্তন করা যায় না। প্রয়োজন হয় বিশেষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, সম্মেলন ও ভোটাভুটির । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয় ।
আরও দেখুন...